খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১৭ জুন, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ঈদের ছুটির পর : দুদক আইনজীবী
  সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলেও কথা বলছে না সরকার : ফখরুল

রিমাণ্ডের পর জিহাদ নিয়ে আনারের খন্ডিত দেহের সন্ধানে কলকাতা সিআইডি

গেজেট ডেস্ক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে ফের অভিযান শুরু করেছে ভারতের সিআইডি। শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গরের কৃষ্ণ মাটি এলাকায় কসাই জিহাদকে নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন কর্মকর্তারা।

এ সময় জলাশয়ের মধ্যে নেমে সিআইডি সদস্যদের তল্লাশি চালাতে দেখা যায়। তবে তিন ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েও মরদেহের কোনো অংশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, জিহাদ যে জায়গাকে চিহ্নিত করেছিল সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। সম্ভাবত সে ইচ্ছে করেই ভুল জায়গা দেখিয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার জিরেনগাছা ব্রিজ এলাকায় দেহের বাকি অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালায় সিআইডি। তবে কোনো অংশ না পেয়ে রাতেই তল্লাশি শেষ করেন কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার (২৪) একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো। পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে চারজনসহ সে এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলা হয়। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির দেহের মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করা হয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়া হয়।

শুক্রবার সকালে জিহাদকে কলকাতার বারাসাত আদালতে তুলে সিআইডি’র পক্ষ থেকে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই জিহাদকে নিয়ে অভিযানে বের হয় সিআইডি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!